Sunday 27 October 2013

হ্যাপি প্রিন্সেস - সাঁঝবাতি


হ্যাপি প্রিন্সেস
-সাঁঝবাতি

কুসুম
ভালবাসবো...
বলে কেউ মোমআলো জ্বালেনি কখনো
আমাকে জ্বালার মত যথেষ্ট অন্ধকার কারুর ছিল না...

সব অন্ধকার মাত্রই আলো জ্বালা যায় না। আমরা দুজন এক গা অন্ধকার নিয়ে আলো খুঁজে চলি। একজন খোঁজে ভালো আরেকজন খোঁজে বাসা। এদের মাঝখানে এক তেপান্তর শূণ্যতা থাকে। একজন মশারী টাঙানোর পার্টনার খুঁজে যায়, আরেকজন নিজেকে। বলেছিলাম, তোর সবচেয়ে ভালো ছবিটা আমিই তুলে দেবো। ক্যামেরায় চোখ রাখি। একা একা করতে করতে তোর যোনিতে জং লাগে, জংলাতে এসে একটা শিবলিঙ্গ রেপ করে যায়। নাহ্‌ বীর্যপাত হয় না। বীর্যপাত তো আমারও হয় না।  আমার কেবল নাইট ফল্‌স আছে। ঘুমের ঘোরে ধপ্‌ করে মাটিতে পড়ে যাওয়া। মাটির কাছাকাছি আসা মানেই তো কোল খোঁজা। খুঁজে পাই না, খুঁজে পাই না...মায়ের মত ভালো গান বাজতে থাকে।
আমি তোর থেকে নাইট্রোসান টেন শিখি। ক্যামেরায় চোখ রেখে দেখি, তুই লাল জামা পড়া মেয়েটার হাত ধরে বিছানায় ধুকে যাস অথবা লোমওলা ছেলেটার বুকে। ওহ্‌ ঘুম, তুমি অর্ধনারীশ্বর। কুসুম, মন নেই বলেই তোমার শরীরের সবচেয়ে সুন্দরী ছবিটা ক্যামেরায় ধরে রাখতে পারলাম; মন থাকলে তোমায় ধরতে গিয়ে, গলার ইভস্‌ অ্যাপেল কেঁপে যেত।   



 কৃষ্ণকলি
দেখেছিলাম আলোর নিচে : অপূর্ব সে আলো
 স্বীকার করি, দুজনকেই মানিয়েছিল ভালো
জুড়িয়ে দিলো চোখ আমার,  পুড়িয়ে দিলো চোখ...

মনে আছে, আমরা সিটিসেণ্টারে যেতাম?  তার পাশে পলাশগাছটা কি আজও আছে? নাকি কৃষ্ণচূড়া ছিল? ঠিক মনে পড়ে না কারণ আমরা দুজন পা রাখা মাত্রই সমস্ত গাছগুলো লাল হয়ে যেত লজ্জায়। সেই লাল কখনও উঠে আসে সিঁথিময় তারপর ফোলাফোলা চোখে...লালেরা একই থাকে খালি জায়গা আর সময় বদলে যায়।
টুইঙ্কল খান্নাকে কেন টিকটিকি বল্‌তাম আমরা, সেই নিয়ে তুই তোর ফরসা বয়ফ্রেন্ডের সাথে হাসাহাসি কর্‌লি। সেই বয়ফ্রেন্ডের সাথে তোর লালপ্যান্টির সম্পর্ক বেশিদূর গড়ায় না। আমিই গড়িয়ে গড়িয়ে নিচের দিকে নামতে থাকি। তোর কালো বরের সাথে বিয়ে হল। তুই মুখভর্তি ফাউন্ডেশ্‌ন, সাদা পাউডার ঘসে হাঁটাহাঁটি করিস সিটিসেণ্টারে।  
আমার গায়ে আগে কত হীরে জহরত আলো ছিল। আমার লাল নাইটিঙ্গেল পাখি একে একে সবাইকে  আমার গা খুবলে, মাংস খুবলে, সুখ খিদে ভাগ করে দিয়ে আসে। লোকে বলে কেন আমার মুখে এত দাগ? কেন আমি ওগুলো অপারেশ্‌ন করাই না? এখন আমি এদের কি করে বোঝাই, পুরনো সুখগুলো কলঙ্ক হয়ে ফুটে আছে চাঁদে। কুছ দাগ; হুম, আচ্ছা হ্যায়। নাইটিঙ্গেলকে বলি, গাবলুস, যাও এই চোখটা উপড়ে নিয়ে ওর কাছে দিয়ে এসো। ওর এবার আলো দরকার। এতদিন বেচারী চাপচাপ অন্ধকার খেয়ে গা ভর্তি কালো নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কালোরঙের জন্যে ওর ঘেন্না দেখলে মায়া হয়।  
নাইটিঙ্গেল বলে, তোর খালি এই একটাই চোখ বেঁচে আছে। কপাল থেকে তিননম্বর চোখটাও খুবলে নিলে অন্ধ হয়ে যাবি। ওকে বলি, মুগ্ধ হয়ে জ্বলে মরে যাওয়ার চেয়ে অন্ধ হয়ে যাওয়া ভালো। নাইটিঙ্গেল শেষ হীরেটাও উপড়ে এনে তোর কাছে দিয়ে আসে (যদিও সিনেমাটিক, তবুও মণিরত্নম...কারণ যশ চোপড়া হতে গেলে হাজার হাজার ওয়াট হতে হয় )কিন্তু আমি তখনও দেখতে পাই। আমার চোখের সামনে ধ্যাবড়া মোটা সাদা ফ্যাকফ্যাকে একটা আঁশটে টিকটিকি ফটফট করে উপর দিকে উঠে যাচ্ছে। মুখের মধ্যে অর্ধেক ওগড়ানো একটা পুরুষ মানুষের ঠ্যাং। প্রেমে অবৈধতায় না ঘেন্নায় বুঝে উঠতে পারি না। আমার ওয়াক উঠে আসে...     


5 comments:

  1. গাবলুস :)
    -Alokparna

    ReplyDelete
  2. Princess, tumi ki amar hobe??
    hebby laglo!

    ReplyDelete
  3. Khub bhalo likhechis. Andhokar ke bujhe othar jannye kokhonoi alo proyojon nei. Anaiker bhetor theke anaiker kotha. Bolar flow, munsiana, gobhirota khub bhalo laglo re. Likhte thakis. Likhte thakis

    ReplyDelete
  4. বাহ্‌... খুব সুন্দর...

    ReplyDelete